বহুবিবাহ সংক্রান্ত আল্লাহর দ্বীন :
সূরা ৪. আন-নিসা
আয়াত নং ১
🔷یٰۤاَیُّهَا النَّاسُ اتَّقُوۡا رَبَّکُمُ الَّذِیۡ خَلَقَکُمۡ مِّنۡ نَّفۡسٍ وَّاحِدَۃٍ وَّ
خَلَقَ مِنۡهَا زَوۡجَهَا وَ بَثَّ مِنۡهُمَا رِجَالًا کَثِیۡرًا وَّ نِسَآءً ۚ وَ اتَّقُوا اللّٰهَ الَّذِیۡ تَسَآءَلُوۡنَ بِهٖ وَ الۡاَرۡحَامَ ؕ اِنَّ اللّٰهَ کَانَ عَلَیۡکُمۡ رَقِیۡبًا ﴿۱﴾
♥️হে মানবজাতি, তোমাদের প্রভুকে ভয় কর যিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন
একক আত্মা থেকে (নাফসিন-ওয়াহিদাতিন / GUT ফোর্স+)।
এবং এটি থেকে সৃষ্টি করেছেন নারীর জোড়া (ডাবল হেলিক্স ডিএনএ মলিকুল XX স্ত্রী লিঙ্গ) । এবং দুইয়ের জোড়া
(হ্যাপ্লয়েড ওয়াই ক্রোমোজোমের ডাবল হেলিক্স ডিএনএ অণু), থেকে (সেক্স ক্রোমোজোম XY/XX) অগণিত
পুরুষ এবং মহিলা ছড়িয়ে দিয়েছেন।
আল্লাহ কে ভয় কর যিনি তোমাদের জিজ্ঞাসা করেন এটি সম্পর্কে এবং জরায়ু সম্পর্কে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বদা তোমাদের উপর সাওয়ার বা নজরদারি রাখেন।
👉O mankind, reverence your Guardian-Lord Who created you
from a Soul Single (Nafsin-Wahidatin / GUT Force+).
Created from it (double helix DNA Molecule) its Pair
(double helix DNA Molecule of haploid Y chromosome), and
from both of them (Sex Chromosome XY / XX) countless
men and women. Fear Allah through whom you demand, and
the wombs; for Allah ever watches over you.
♥️অর্থাৎ আল্লাহ তায়ালার কিতাবের লেখক ক্বলম লিখেছেন,
ওহে মানুষের দল তোমরা রব/ প্রতিপালক কে ভয় কর যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন “একক আত্মা” থেকে। এটা থেকে নারী জাওযা ( XX DNA Double strand) সৃষ্টি করেছেন। এবং সম্প্রসারণ করেছেন এখান থেকে ( XX and XY) বহু পুরুষ ও নারী। আল্লাহ কে ভয় কর যিনি তোমাদের এটা সম্পর্কে জানান দেন বা জিজ্ঞাসা করেন; এবং জরায়ু সমূহ সম্পর্কেও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের উপর সব সময় নজরদারি বা সাওয়ার বা আরোহন করেন।
✅নারী সৃষ্টি,নারী থেকে পৃথিবীর সকল পুরুষ ও নারী বিস্তার, নারীর জরায়ুর গুরুত্ব ও আল্লাহ এই জরায়ুর উপর তথা মানুষের উপর রাকিবা বা আহরন করতে পারেন বা নজরদারি রাখেন। পৃথিবীতে মানুষের বিস্তৃতি ও সবকিছুর শুরু একটি আল্লাহর নাফসের থেকে পৃথক করা একক নাফস থেকে ( নাফসুন ওয়াহেদা) । এবং এই সব কাজকর্ম করা, প্রতিপালনের দায়িত্ব পালন করা – সব আল্লাহ ই করছেন। এই জন্যই তিনি রব। অর্থাৎ মানবজাতির অস্তিত্ব ও বিস্তারে নারী জাতির গুরুত্ব দিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সূরা নিসা শুরু করেছেন।
🔷🔷🔷
অতঃপর, যে সব নারীরা বিধবা বা এতিম সন্তানদের মা যারা সমাজের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বা এতিম শিশুদের অভিভাবকত্ব নেই; তাদের সামাজিক ভাবে স্থিতিশীলতা আনতে আল্লাহ বিধান দিলেন। হিজরত এর ২-৫ বছরের মধ্যে বদর ও ওহুদ যুদ্ধে নিহত শহীদ বাবাদের বিগত হবার পর সমাজের মধ্যে এতিম ও বিধবা নারী বৃদ্ধি পায় অস্বাভাবিক ভাবে। এই অবস্থায় আল্লাহ এই আয়াতগুলো নাজিল করেছেন।
বর্তমানেও যে কোন কারণ বশতঃ সমাজের মধ্যে নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় বেশি হলে ( বিশেষ সূত্রে এখন এই সংখ্যা ১২০০ জন নারী ও ১০০০ জন পুরুষ বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন হতে পারে। ) ; যে সব বিধবা নারীরা সন্তান নিয়ে কষ্টের মধ্যে আছেন; যে সব নারীরা তালাক প্রাপ্তা; যে সব নারীরা সন্তান নিয়ে তালাকপ্রাপ্তা; যে সব নারীর স্বামীর খোঁজ
নেই; তাদের ব্যাপারে আল্লাহ বিধান দিলেন।
পূর্ববর্তী স্বামীর ঘরের সন্তান সম্পদ পেলে, তার ব্যবহার নীতিমালা কেমন হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সূরা ৪. আন-নিসা
আয়াত নং ২
وَ اٰتُوا الۡیَتٰمٰۤی اَمۡوَالَهُمۡ وَ لَا تَتَبَدَّلُوا الۡخَبِیۡثَ بِالطَّیِّبِ ۪ وَ لَا تَاۡکُلُوۡۤا اَمۡوَالَهُمۡ اِلٰۤی اَمۡوَالِکُمۡ ؕ اِنَّهٗ کَانَ حُوۡبًا کَبِیۡرًا ﴿۲﴾
এবং ইয়াতীমদেরকে তাদের ধন-সম্পদ প্রদান কর এবং ভালোর সাথে মন্দের বদল করো না এবং তাদের মাল নিজেদের মালের সঙ্গে মিশিয়ে গ্রাস করো না, নিশ্চয় এটা মহাপাপ।
সূরা ৪. আন-নিসা
আয়াত নং ৩
وَ اِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تُقۡسِطُوۡا فِی الۡیَتٰمٰی فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ مَثۡنٰی وَ ثُلٰثَ وَ رُبٰعَ ۚ فَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تَعۡدِلُوۡا فَوَاحِدَۃً اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَلَّا تَعُوۡلُوۡا ؕ﴿۳﴾
অনুবাদঃ
যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীমদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না; তবে কুমারী নারীদের মধ্য হতে নিজেদের পছন্দমত দুই-দুই ও তিন-তিন ও চার-চার জনকে বিবাহ কর । কিন্তু যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, তোমরা সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে বিয়ে কর । কিংবা তোমাদের অধীনস্থ দাসীকে যত ইচ্ছা বিয়ে কর ; এটাই হবে ন্যায় বিচার ।
যদি এতিম শিশুদের সম্পদের সাথে বা এতিম শিশুদের সাথে সদাচরণের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী না হয়; তবে পুরুষের উচিত কুমারী নারীদের মধ্য থেকে ২-২ & ৩-৩ & ৪-৪ বিবাহ করতে পারে। এটা এমন হতে পারে একসাথে একজন পুরুষ ২ টি বাড়িতে ২ টো করে, ৩ টি বাড়িতে ৩ টি করে, ৪ টি বাড়িতে ৪ টি করে; অথবা ২+২+৩+৩+৪+৪=১৮ অথবা ১+২+৩+৪=১০ অথবা ১+১+১+১=৪ অথবা ১-৪ বিবাহ করতে পারে কুমারী নারীদের যেখানে এতিম শিশুদের ন্যায়নিষ্ঠ পরিচালনা করার ব্যাপার থাকছে না। কিন্তু কুমারী নারীদের সকল স্ত্রী দের মধ্যে অর্থনৈতিক ভাবে ন্যায়বিচার করতে অসমর্থ পুরুষ ১ টি নারী বিয়ে করবে। এটাই ন্যায়।
যাদের আল্লাহ ক্ষমতা ও সামর্থ্য দিয়েছেন ,তারা কুমারী মেয়েদের ( বর্তমানে নানা ধরনের পরিস্থিতির জন্য কুফু না মিলার কারণে বহু অবিবাহিত নারী যোগ্য পুরুষের অভাবে বয়স বাড়িয়ে বুড়ি হয়ে যাচ্ছে। যা সামাজিক অস্থিরতা ও অসুস্থতা তৈরি করছে) মোহরানা দিয়ে বিবাহ করতে পারে ( মুতাহ বা স্বাভাবিক) । এই জাতীয় নারীদের সংখ্যা পরিস্থিতি ও অবস্থা অনুযায়ী ১-১৮ পর্যন্ত হতে পারে। আল্লাহ এখানে বিরাট স্কোপ করে রেখেছেন। পুরো ব্যাবস্থাপনা একজন ইমামের নজরদারিতে বা প্রশাসনের মধ্যে হবে। সামাজিক ব্যাবস্থাপনার মাধ্যমে এটি পরিচালিত হতে হবে।
কিন্তু যারা দাসী তাদের সংখ্যা আনলিমিটেড। যারা বিধবা তাদের সংখ্যাও আল্লাহ আনলিমিটেড রেখেছেন। এক্ষেত্রে আল্লাহ কোন সংখ্যা বেঁধে দেননি।
দরকার শুধু পৌরুষত্ব ও সামর্থ্য। আর ন্যায়নিষ্ঠ পরিচালনা।
সূরা ৪. আন-নিসা
আয়াত নং ৪
وَ اٰتُوا النِّسَآءَ صَدُقٰتِهِنَّ نِحۡلَۃً ؕ فَاِنۡ طِبۡنَ لَکُمۡ عَنۡ شَیۡءٍ مِّنۡهُ نَفۡسًا فَکُلُوۡهُ هَنِیۡٓــًٔا مَّرِیۡٓــًٔا ﴿۴﴾
অনুবাদঃ
নারীদেরকে তাদের মোহর স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে দেবে, অতঃপর তারা যদি সন্তোষের সঙ্গে তাথেকে তোমাদের জন্য কিছু ছেড়ে দেয়, তবে তা তৃপ্তির সঙ্গে ভোগ কর।
যারা মোহর ছেড়ে দিবে, তাদের কেউ আল্লাহ ভোগ করতে বলেছেন।
🔷English translation:
To orphans restore their property, nor substitute worthless things for good ones and devour not their substance with your own; for this is indeed a great sin.
If you fear that you shall not be able to deal justly with the orphans, marry women of your choice, two, or three, or four; but if you fear that you shall not be able to deal justly, then only one, or that your right hands possess that will be more suitable to prevent you from doing injustice.
And give the women their dower as a free gift, but if they of their own good pleasure remit any part of it to you, take it and enjoy it with right good cheer.
Remarks:
The verses are talking about orphans, but these are related to the marriage mainly.
At first, the verses are talking about the marriage of widows who have children from their dead husbands. If one marries such a woman, one must not devour the property of her orphan children, which is left by their dead father [In light of the Quran, a child is orphan when his father is dead].
If one thinks that one will not be able to deal justly with the orphans, one should not marry a widow having orphans.
The policy of “marrying four” can be deduced from the above verses. But, according to the verses, the policy is applicable to the ‘women of choice (principally virgins) only; widows, having orphans, are not counted. It means that one can marry four virgins and uncounted number of widows having orphans.
A family that has more than one woman is happier. They can help each other in family works. It makes the home safe for the infants if one is working, another can look after the infants. It frees the husband from additional home engagements and naggings of wife (a single wife has none but her husband). He becomes a better member
of the society. It is prestigious for him as well. However, policy of marrying more than one woman is suitable in the Muslim Societies mainly.
The word “…but if you fear that you shr to deal justly, then only one…” relates to 421/867 condition mainly.
অধ্যায়-4 [আয়াত 2-4] এর ধারা-2: বিবাহ
এতিমদের তাদের সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করবেন না, ভাল জিনিসের পরিবর্তে মূল্যহীন জিনিসগুলিকে প্রতিস্থাপন করবেন না এবং তাদের সম্পদ আপনার নিজের দ্বারা গ্রাস করবেন না; কারণ এটা সত্যিই মহাপাপ।
যদি তোমরা আশংকা কর যে, এতিমদের সাথে ন্যায়বিচার করতে পারবে না; তাহলে তোমাদের পছন্দের নারীকে বিয়ে কর, দুই, তিন, অথবা চারটি; কিন্তু যদি আপনি ভয় পান যে আপনি ন্যায়বিচার করতে সক্ষম হবেন না, তবে শুধুমাত্র একটি, বা আপনার ডান হাতের অধিকারী যা আপনাকে অন্যায় করা থেকে বিরত রাখতে আরও উপযুক্ত হবে।
এবং মহিলাদেরকে তাদের মোহরানা বিনামূল্যে উপহার হিসাবে দিন, তবে তারা যদি তাদের নিজের সন্তুষ্টিতে এর কোনও অংশ আপনাকে ছাড় দেয় তবে তা গ্রহণ করুন এবং যথাযথ আনন্দের সাথে উপভোগ করুন।
মন্তব্য:
আয়াতগুলো এতিমদের কথা বলছে, কিন্তু এগুলো মূলত বিয়ের সাথে সম্পর্কিত।
প্রথমে, আয়াতগুলি বিধবাদের বিবাহ সম্পর্কে কথা বলছে যাদের তাদের মৃত স্বামীর সন্তান রয়েছে। যদি কেউ এমন একজন মহিলাকে বিয়ে করে, তবে তার এতিম সন্তানদের সম্পত্তি গ্রাস করা উচিত নয়, যা তাদের মৃত পিতা রেখে গেছেন [কুরআনের আলোকে, পিতা মারা গেলে একটি শিশু এতিম হয়]।
যদি কেউ মনে করে যে এতিমদের সাথে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করতে পারবে না, তাহলে এতিম আছে এমন বিধবাকে বিয়ে করা উচিত নয়।
উপরোক্ত আয়াত থেকে “চারটি বিবাহ” নীতি অনুমান করা যেতে পারে। কিন্তু, আয়াত অনুযায়ী, নীতি শুধুমাত্র ‘পছন্দের মহিলাদের (প্রধানত কুমারী) জন্য প্রযোজ্য; বিধবা, অনাথ আছে, গণনা করা হয় না. এটা
এর অর্থ হল যে কেউ চারটি কুমারী এবং অগণিত সংখ্যক বিধবাকে বিয়ে করতে পারে যাদের এতিম রয়েছে।
যে পরিবারে একাধিক মহিলা থাকে সে পরিবার সুখী। পারিবারিক কাজে একে অপরকে সাহায্য করতে পারে। এটি শিশুদের জন্য নিরাপদ করে তোলে যদি একজন কাজ করে, অন্যজন শিশুদের দেখাশোনা করতে পারে। এটি স্বামীকে অতিরিক্ত ঘরের ব্যস্ততা এবং স্ত্রীর বিরক্তি থেকে মুক্ত করে (একজন স্ত্রীর তার স্বামী ছাড়া আর কেউ নেই)। তিনি আরও ভাল সদস্য হয়ে ওঠেন
সমাজের এটা তার জন্যও মর্যাদাপূর্ণ। তবে একাধিক নারীকে বিয়ে করার নীতি মূলত মুসলিম সমাজে উপযুক্ত।
“…কিন্তু যদি আপনি ভয় পান যে আপনি ন্যায়সঙ্গতভাবে আচরণ করতে চান, তবে শুধুমাত্র একটি…” প্রধানত অর্থ শর্তের সাথে সম্পর্কিত।